ওয়েব স্কুল বিডি : সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের এইচ এস সি প্রাণিবিজ্ঞান-প্রাণিবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা হলো
অনলাইন এক্সামের বিভাগসমূহ:
জে.এস.সি
এস.এস.সি
এইচ.এস.সি
সকল শ্রেণির সৃজনশীল প্রশ্ন (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিসিএস প্রিলি টেষ্ট
এইচ এস সি প্রাণিবিজ্ঞান-মানবদেহ-রক্ত সংবহন তন্ত্র
প্রারম্ভিক আলোচনা: অধ্যায়টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কিছুই ভালোমত বুঝে মনে রাখতে হবে। অধ্যায়টি উপভোগ্যও বটে।
অধ্যায় সারবস্তু:
১. রক্ত আন্তঃকোষীয় তরল যোজক কলা। (অন্তঃকোষীয় বলতে বোঝায় একটা কোষের মধ্যেই, আর আন্তঃকোষীয় বলতে একাধিক কোষের মধ্যে সম্পর্ক) (রক্তে ক্ষেত্রে যোজক কলা কথাটা একটু কনফিউজিং লাগতে পারে, কিন্তু বিভিন্ন কোষের মধ্যে খাদ্য, অক্সিজেন, হরমোন, ইত্যাদির আদান প্রদানের মাধ্যম হল রক্ত, তাই রক্ত এক ধরনের যোজক কলা)
২. রক্ত সামান্য ক্ষারীয়, এর pH গড়ে ৭.২-৭.৪ । ( pH বেশি হওয়ার মানে H+ কম হওয়া)
৩. আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০৬৫, পানির চেয়ে সামান্য বেশি। (যেহেতু রক্তে পানি বা তরল ছাড়াও বেশ কিছু কোষ থাকে)
৪. সুস্থ মানুষের দেহে রক্ত থাকে প্রায় ৫-৬ লিটার।
৫. রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে প্লাজমা বলে। (রক্ত দেখতে লাল, কারণ লোহিত কণিকার উপস্থিতির জন্য একে লাল দেখায়, কিন্তু কোন ভাবে লোহিত কণিকা সরানো হলে বাকি যে তরল অংশ পাওয়া যায়, তা দেখতে হলুদ)
৬. রক্তের প্লাজমায় পানির পরিমাণ ৯০-৯২%, এবং দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ ৮-১০%। এর মধ্যে ৭.১-৮.১% জৈব এবং অজৈব উপাদান প্রায় ০.৯%।
৭. রক্তরসের বিভিন্ন কাজ:
খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, লিপিড, লবণ, ভিটামিন) বিভিন্ন কোষে বয়ে নিয়ে যাওয়া।
কলা থেকে বর্জ্য পদার্থ রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যাওয়া।
অধিকাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তরসে বাইকার্বনেট রূপে দ্রবীভূত থাকে। (লক্ষ করা প্রয়োজন, রক্তরসের কাজ অক্সিজেন পরিবহন নয়, যা লোহিত কণিকার কাজ)
হরমোন, এনজাইম পরিবহন।
রক্তের অম্ল ক্ষারকের ভারসাম্য রক্ষা করে, pH যাতে একই থাকে।
৮. তিন রকমের রক্ত কণিকা আছে:
এরিথ্রোসাইট বা লোহিতকণিকা (এরিথ্রো মানে লাল)
লিউকোসাইট বা শ্বেতরক্তকণিকা (লিউকোপ্লাস্ট-এর মত বর্ণহীন বোঝাতে)
থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা (থ্রম্বোসিস বা রক্ত তঞ্চন করে)
৯. লোহিত রক্ত কণিকা দ্বিঅবতল এবং নিউক্লিয়াসবিহীন। (একটা ফুটবলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, ফুটবলের পাম্প বেরিয়ে গেলে যেমন চুপসে যায়, দুই দিকের তলই নিচে নেমে যায়, লোহিত কণিকা তেমনি প্রথমে গোল থাকলেও নিউক্লিয়াস না থাকার ফলে চুপসে দ্বিঅবতল অবস্থায় চলে যায়)
১০. লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্চক কণিকা থাকে, যার ফলে কোষটিকে লাল দেখায়। হিমোগ্লোবিন ক্ষুদ্রতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি (যেমন বেগুনি, নীল) শোষণ করে, কিন্তু দীর্ঘতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের লাল আলো শোষণ করে না প্রতিফলিত করে, তাই একে লাল দেখায়।
১১. ভ্রূণদেহে প্রতি ঘনমিমি তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে (৮০-৯০ লক্ষ) এবং পূর্ণবয়ষ্ক নারী দেহে সবচেয়ে কম থাকে (৪৫ লক্ষ)।
১২. প্রতি ঘন মিমি রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা প্রায় ৩৭.৫ লক্ষের চেয়ে কমে গেলে ওই অবস্থাকে রক্তস্বল্পতা (এনেমিয়া=এন+এমিয়া) বলে। আর ৬৫ লক্ষের চেয়েও বেড়ে গেলে এ অবস্থাকে বলে পলিসাইথেমিয়া। (পলি বলতেই বেশি কিছু বোঝায়)
১৩. ভ্রূণে লোহিত কণিকা যকৃত, প্লীহা (Spleen, পাকস্থলীর পিছনে থাকা একটি অঙ্গ) ও থাইমাস (গলার কাছের একটি গ্রন্থি) থেকে সৃষ্টি হয়। জন্মের পর ২০ বছর পর্যন্ত মানবদেহে পায়ের লম্বা অস্থি ফিমারের অস্থিমজ্জা থেকে এবং জীবনের বাকি সময় অন্যান্য অস্থিমজ্জা থেকেও উৎপন্ন হতে থাকে।
১৪. লোহিত কণিকার গড় আয়ু ৪ মাস বা প্রায় ১২০ দিন। (এজন্যই চার মাস পরপর রক্ত দেওয়ার কথা বলা হয়)
১৫. লোহিত কণিকা শরীরের সবখানে অক্সিজেন পরিবহন করে।
১৬. শ্বেতরক্তকণিকা নিউক্লিয়াসযুক্ত, আকারে বড়, আকৃতি পরিবর্তনশীল।
১৭. প্রতি ঘনমিমি রক্তে ৫-৮ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত রক্তকণিকার অনুপাত ৭০০:১
১৮. শ্বেতরক্তকণিকাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়:
গ্র্যানিউলোসাইট (গ্র্যানিউল বিশিষ্ট বা দানাদার কোষ)
অ্যাগ্র্যানিউলোসাইট (গ্র্যানিউলহীন বা দানাহীন কোষ)
১৯. গ্র্যানিউলোসাইট তিন প্রকার। যথা:
নিউট্রোফিল (বর্ণ নিউট্রাল বা নিরপেক্ষ, এসিডিক/অম্লীয় বা বেসিক/ক্ষারকীয় না)
ইওসিনোফিল (ইওসিন রঞ্জকে লাল রং ধারণ করে, একে এসিডোফিলিকও বলা চলে)
বেসোফিল (বেস বা ক্ষারকে নীল বর্ণ ধারণ করে)
২০. গ্র্যানিউলোসাইটের কাজ:
নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ভক্ষণ করে
ইওসিনোফিল ও বেসোফিল নিঃসৃত হিস্টামিন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বেসোফিল নিঃসৃত হেপারিন ধমনী বা শিরায় রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়
২১. অ্যাগ্র্যানিউলোসাইট দু’প্রকার। যথা:
লিম্ফোসাইট
মনোসাইট
২২. অ্যাগ্র্যানিউলোসাইটের কাজ:
লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং ফাইব্রোব্লাস্ট সৃষ্টি করে কলা বা টিস্যুর ক্ষয়পূরণ করে
মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগ জীবণূ ধ্বংস করে (নিউট্রোফিলের মত কাজ, তবে ভিন্ন ভাবে)
উভয়ের প্লাজমা প্রোটিন থেকে ট্রিফোন নামক কলাকোষের পুষ্টিকারক পদার্থ উৎপন্ন হয়।
২৩. থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা ক্ষুদ্রতম রক্তকণিকা, নিউক্লিয়াসবিহীন।
২৪. প্রতি ঘনমিমি রক্তে থ্রম্বোসাইটের সংখ্যঅ আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ। অসুস্থ দেহে আরও বেড়ে যায়।
২৫. থ্রম্বোসাইটের গড় আয়ু প্রায় ৫-১০ দিন।
২৬. থ্রম্বোসাইটের কাজ:
রক্ত তঞ্চন বা জমাট বাঁধায় অংশ নেয়
রক্তজালিকার ক্ষতিগ্রস্ত এপিথেলিয়াল আবরণ পুর্নগঠন অংশ নেয়
রক্তবাহিকার সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত বন্ধে সাহায্য করে
২৭. একটি তুলনা:
২৮. রক্তের কাজ:
অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন
খাদ্যসার, হরমোন, সঞ্চিত খাদ্য পরিবহন
জীবাণু প্রতিরোধ
রক্তপাত প্রতিরোধ
দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ
ক্ষত নিরাময়
অনলাইন এ ক্লাস করুন একদম ফ্রী. …
(প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত)
Skype id - wschoolbd
অনলাইন এক্সামের বিভাগসমূহ:
জে.এস.সি
এস.এস.সি
এইচ.এস.সি
সকল শ্রেণির সৃজনশীল প্রশ্ন (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিসিএস প্রিলি টেষ্ট
এইচ এস সি প্রাণিবিজ্ঞান-মানবদেহ-রক্ত সংবহন তন্ত্র
প্রারম্ভিক আলোচনা: অধ্যায়টা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কিছুই ভালোমত বুঝে মনে রাখতে হবে। অধ্যায়টি উপভোগ্যও বটে।
অধ্যায় সারবস্তু:
১. রক্ত আন্তঃকোষীয় তরল যোজক কলা। (অন্তঃকোষীয় বলতে বোঝায় একটা কোষের মধ্যেই, আর আন্তঃকোষীয় বলতে একাধিক কোষের মধ্যে সম্পর্ক) (রক্তে ক্ষেত্রে যোজক কলা কথাটা একটু কনফিউজিং লাগতে পারে, কিন্তু বিভিন্ন কোষের মধ্যে খাদ্য, অক্সিজেন, হরমোন, ইত্যাদির আদান প্রদানের মাধ্যম হল রক্ত, তাই রক্ত এক ধরনের যোজক কলা)
২. রক্ত সামান্য ক্ষারীয়, এর pH গড়ে ৭.২-৭.৪ । ( pH বেশি হওয়ার মানে H+ কম হওয়া)
৩. আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০৬৫, পানির চেয়ে সামান্য বেশি। (যেহেতু রক্তে পানি বা তরল ছাড়াও বেশ কিছু কোষ থাকে)
৪. সুস্থ মানুষের দেহে রক্ত থাকে প্রায় ৫-৬ লিটার।
৫. রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে প্লাজমা বলে। (রক্ত দেখতে লাল, কারণ লোহিত কণিকার উপস্থিতির জন্য একে লাল দেখায়, কিন্তু কোন ভাবে লোহিত কণিকা সরানো হলে বাকি যে তরল অংশ পাওয়া যায়, তা দেখতে হলুদ)
৬. রক্তের প্লাজমায় পানির পরিমাণ ৯০-৯২%, এবং দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ ৮-১০%। এর মধ্যে ৭.১-৮.১% জৈব এবং অজৈব উপাদান প্রায় ০.৯%।
৭. রক্তরসের বিভিন্ন কাজ:
খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, লিপিড, লবণ, ভিটামিন) বিভিন্ন কোষে বয়ে নিয়ে যাওয়া।
কলা থেকে বর্জ্য পদার্থ রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যাওয়া।
অধিকাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তরসে বাইকার্বনেট রূপে দ্রবীভূত থাকে। (লক্ষ করা প্রয়োজন, রক্তরসের কাজ অক্সিজেন পরিবহন নয়, যা লোহিত কণিকার কাজ)
হরমোন, এনজাইম পরিবহন।
রক্তের অম্ল ক্ষারকের ভারসাম্য রক্ষা করে, pH যাতে একই থাকে।
৮. তিন রকমের রক্ত কণিকা আছে:
এরিথ্রোসাইট বা লোহিতকণিকা (এরিথ্রো মানে লাল)
লিউকোসাইট বা শ্বেতরক্তকণিকা (লিউকোপ্লাস্ট-এর মত বর্ণহীন বোঝাতে)
থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা (থ্রম্বোসিস বা রক্ত তঞ্চন করে)
৯. লোহিত রক্ত কণিকা দ্বিঅবতল এবং নিউক্লিয়াসবিহীন। (একটা ফুটবলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, ফুটবলের পাম্প বেরিয়ে গেলে যেমন চুপসে যায়, দুই দিকের তলই নিচে নেমে যায়, লোহিত কণিকা তেমনি প্রথমে গোল থাকলেও নিউক্লিয়াস না থাকার ফলে চুপসে দ্বিঅবতল অবস্থায় চলে যায়)
১০. লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্চক কণিকা থাকে, যার ফলে কোষটিকে লাল দেখায়। হিমোগ্লোবিন ক্ষুদ্রতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি (যেমন বেগুনি, নীল) শোষণ করে, কিন্তু দীর্ঘতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের লাল আলো শোষণ করে না প্রতিফলিত করে, তাই একে লাল দেখায়।
১১. ভ্রূণদেহে প্রতি ঘনমিমি তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে (৮০-৯০ লক্ষ) এবং পূর্ণবয়ষ্ক নারী দেহে সবচেয়ে কম থাকে (৪৫ লক্ষ)।
১২. প্রতি ঘন মিমি রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা প্রায় ৩৭.৫ লক্ষের চেয়ে কমে গেলে ওই অবস্থাকে রক্তস্বল্পতা (এনেমিয়া=এন+এমিয়া) বলে। আর ৬৫ লক্ষের চেয়েও বেড়ে গেলে এ অবস্থাকে বলে পলিসাইথেমিয়া। (পলি বলতেই বেশি কিছু বোঝায়)
১৩. ভ্রূণে লোহিত কণিকা যকৃত, প্লীহা (Spleen, পাকস্থলীর পিছনে থাকা একটি অঙ্গ) ও থাইমাস (গলার কাছের একটি গ্রন্থি) থেকে সৃষ্টি হয়। জন্মের পর ২০ বছর পর্যন্ত মানবদেহে পায়ের লম্বা অস্থি ফিমারের অস্থিমজ্জা থেকে এবং জীবনের বাকি সময় অন্যান্য অস্থিমজ্জা থেকেও উৎপন্ন হতে থাকে।
১৪. লোহিত কণিকার গড় আয়ু ৪ মাস বা প্রায় ১২০ দিন। (এজন্যই চার মাস পরপর রক্ত দেওয়ার কথা বলা হয়)
১৫. লোহিত কণিকা শরীরের সবখানে অক্সিজেন পরিবহন করে।
১৬. শ্বেতরক্তকণিকা নিউক্লিয়াসযুক্ত, আকারে বড়, আকৃতি পরিবর্তনশীল।
১৭. প্রতি ঘনমিমি রক্তে ৫-৮ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা থাকে। লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত রক্তকণিকার অনুপাত ৭০০:১
১৮. শ্বেতরক্তকণিকাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়:
গ্র্যানিউলোসাইট (গ্র্যানিউল বিশিষ্ট বা দানাদার কোষ)
অ্যাগ্র্যানিউলোসাইট (গ্র্যানিউলহীন বা দানাহীন কোষ)
১৯. গ্র্যানিউলোসাইট তিন প্রকার। যথা:
নিউট্রোফিল (বর্ণ নিউট্রাল বা নিরপেক্ষ, এসিডিক/অম্লীয় বা বেসিক/ক্ষারকীয় না)
ইওসিনোফিল (ইওসিন রঞ্জকে লাল রং ধারণ করে, একে এসিডোফিলিকও বলা চলে)
বেসোফিল (বেস বা ক্ষারকে নীল বর্ণ ধারণ করে)
২০. গ্র্যানিউলোসাইটের কাজ:
নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগজীবাণু ভক্ষণ করে
ইওসিনোফিল ও বেসোফিল নিঃসৃত হিস্টামিন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বেসোফিল নিঃসৃত হেপারিন ধমনী বা শিরায় রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়
২১. অ্যাগ্র্যানিউলোসাইট দু’প্রকার। যথা:
লিম্ফোসাইট
মনোসাইট
২২. অ্যাগ্র্যানিউলোসাইটের কাজ:
লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং ফাইব্রোব্লাস্ট সৃষ্টি করে কলা বা টিস্যুর ক্ষয়পূরণ করে
মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় রোগ জীবণূ ধ্বংস করে (নিউট্রোফিলের মত কাজ, তবে ভিন্ন ভাবে)
উভয়ের প্লাজমা প্রোটিন থেকে ট্রিফোন নামক কলাকোষের পুষ্টিকারক পদার্থ উৎপন্ন হয়।
২৩. থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা ক্ষুদ্রতম রক্তকণিকা, নিউক্লিয়াসবিহীন।
২৪. প্রতি ঘনমিমি রক্তে থ্রম্বোসাইটের সংখ্যঅ আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ। অসুস্থ দেহে আরও বেড়ে যায়।
২৫. থ্রম্বোসাইটের গড় আয়ু প্রায় ৫-১০ দিন।
২৬. থ্রম্বোসাইটের কাজ:
রক্ত তঞ্চন বা জমাট বাঁধায় অংশ নেয়
রক্তজালিকার ক্ষতিগ্রস্ত এপিথেলিয়াল আবরণ পুর্নগঠন অংশ নেয়
রক্তবাহিকার সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত বন্ধে সাহায্য করে
২৭. একটি তুলনা:
তুলনীয় বিষয়
|
এরিথ্রোসাইট
|
লিউকোসাইট
|
থ্রম্বোসাইট
|
সংখ্যা প্রতি ঘনমিমি রক্তে
|
প্রায় ৫০ লক্ষ
|
৫-৮ হাজার
|
২.৫-৫ লক্ষ
|
নিউক্লিয়াস
|
থাকে না
|
থাকে
|
থাকে না
|
বর্ণ
|
লাল
|
বর্ণহীন
|
বর্ণহীন
|
আয়ু
|
১২০ দিন
|
অজানা
|
৫-৯ দিন
|
আকৃতি
|
দ্বি-অবতল
|
গোলাকার বা অনিয়ত
|
অনিয়ত
|
প্রধান কাজ
|
অক্সিজেন পরিবহন
|
রোগ প্রতিরোধ
|
রক্ত জমাট বাঁধা
|
২৮. রক্তের কাজ:
অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন
খাদ্যসার, হরমোন, সঞ্চিত খাদ্য পরিবহন
জীবাণু প্রতিরোধ
রক্তপাত প্রতিরোধ
দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ
ক্ষত নিরাময়
অনলাইন এ ক্লাস করুন একদম ফ্রী. …
(প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত)
Skype id - wschoolbd
Tags
HSC Biology