এইচ এস সি প্রাণিবিজ্ঞান-মানবদেহ- কঙ্কাল তন্ত্র

ওয়েব স্কুল বিডি : সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের এইচ এস সি প্রাণিবিজ্ঞান-মানবদেহ- কঙ্কাল তন্ত্র নিয়ে আলোচনা করা হলো

অনলাইন এক্সামের বিভাগসমূহ:
জে.এস.সি
এস.এস.সি
এইচ.এস.সি
সকল শ্রেণির সৃজনশীল প্রশ্ন (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিসিএস প্রিলি টেষ্ট


এইচ এস সি প্রাণিবিজ্ঞান-মানবদেহ- কঙ্কাল তন্ত্র


অধ্যায় সারবস্তু:

মানুষের শ্রেণিবিন্যাস:

পর্ব = Chordata

উপপর্ব = Vertebrata

শ্রেণী = Mammalla

বর্গ = Primates

উপবর্গ = Hominoidea

গোত্র = Hominidae

গণ = Homo

প্রজাতি = Homo sapiens

http://www.webschoolbd.com/
১. মানুষ হচ্ছে Primates বর্গীয় প্রাণী।

২. মানুষ সহ এ গোষ্ঠীতে ১৮৩ টি প্রজাতি রয়েছে। (মানুষ ছাড়া ১৮২ টি)

৩. ৩-৪ মিলিয়ন বছর আগে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে।

৪. আধুনিক মানুষের উৎপত্তি হয়েছে মাত্র ৩৫-৪০ হাজার বছর আগে।

৫. বুড়ো আঙ্গুলকে অন্য আঙ্গুলের বিরুদ্ধ দিকে বাঁকিয়ে ধরার ক্ষমতাকে “অপোজেবল গ্রিপ” বলে। (opposite থেকে অপোজেবল)

৬. মানুষের দৃষ্টিশক্তি বিকশিত হওয়ায় ঘ্রাণশক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমেছে।

কঙ্কালতন্ত্র:

৭. অস্থি ও তরুণাস্থি মিলে কঙ্কালতন্ত্র গঠিত।

৮. অস্থিমজ্জা থেকে লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয়।

৯. অস্থি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সঞ্চয় করে।

১০. মানবদেহের কঙ্কালতন্ত্রকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

ক) অক্ষীয় কঙ্কাল

খ) উপাঙ্গীয় কঙ্কাল

১১. অক্ষীয় কঙ্কালে অস্থি ৮০ টি এবং উপাঙ্গীয় কঙ্কালে ১২৬ টি। সব মিলিয়ে মোট অস্থির সংখ্যা ২০৬ টি।

অক্ষীয় কঙ্কাল:

১২. অক্ষীয় কঙ্কালকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

ক) করোটি (Skull)

খ) দেহকাণ্ড (Trunk)

১৩. ২৯ টি অস্থি নিয়ে করোটি গঠিত। করোটির অস্থি দু’ভাগ বিভক্ত:

ক) করোটিকা বা খুলির অস্থি (যা মস্তিষ্ককে রক্ষা করে)

খ) মুখমণ্ডলীয় অস্থি (মুখের বাহ্যিক গঠন দান করে)

১৪. করোটিকা ৮ টি চাপা ও শক্ত অস্থি নিয়ে গঠিত, এদের কিনারা খাঁজ কাটা হওয়ায় এরা ঘন সন্নিবেশিত ও দৃঢ়সংলগ্ন থাকে। এদের বর্ণনা:

· ফ্রন্টাল = ১ টি

· প্যারাইটাল (শব্দটির অর্থ দেয়াল, ফ্রন্টালের ঠিক পিছনেই) = ২ টি

· টেমপোরাল (অন্যান্য প্রাণীতে থাকা কয়েকটি অস্থি এতে একীভূত হয়েছে) = ২ টি

· অক্সিপিটাল অস্থি (occipital, caput অর্থ মাথা, আর অক্সিপিটাল মানে মাথার পেছনে) = ১ টি

· স্ফেনয়েড অস্থি (spoon শব্দের সাথে সম্পর্কিত) = ১ টি

· এথময়েড অস্থি (ethmos অর্থ ছিদ্র, চোখের কোটর যেখানে থাকে) = ১ টি

মোট = ৮ টি



১৫. মাথার পিছনের দিকে থাকা অক্সিপিটাল অস্থি অ্যাটলাসের সাথে করোটিকাকে যুক্ত করে।

১৬. টেমপোরাল অস্থির চারটি অংশ থাকে:

ক) খোলসাকার অংশ

খ) গম্বুজ

গ) ম্যাস্টয়েড অংশ

ঘ) টিমপ্যানিক অংশ (টিমপেনন অর্থ ড্রাম, কানের সাথে সম্পর্কিত)

১৭. টেরিগয়েড প্রসেস থাকে স্ফেনয়েড অস্থি তে।

মুখমণ্ডলীয় অস্থি:

১৮. মুখমণ্ডলীয় অস্থির বিভিন্ন অংশ:

· ম্যাক্সিলা বা উর্ধ্ব চোয়াল (তেলাপোকায় যেমন থাকে) = ২ টি

· ম্যান্ডিবল বা নিম্ন চোয়াল (ম্যান্ডিবল-ই একমাত্র নড়ন ক্ষম হাড়) = ১ টি

· জাইগোম্যাটিক অস্থি (চোখের নিতে হাত বুলালে প্রতি গালে একটা করে যে হাড় পাওয়া যায়) = ২ টি

· ন্যাসাল অস্থি (নাক)

· ল্যাক্রিমাল অস্থি (ল্যাক্রিমা অর্থ অশ্রু) = ২ টি

· ইনফিরিয়র ন্যাসাল কংকা (ইনফিরিয়র মানে নীচে, কংকা বলতে খোলস) = ২ টি

· ভোমার = ১ টি

· প্যালেটাইন অস্থি = ১ টি

১৯. একটি আদর্শ কশেরুকার যেসব অংশ থাকে:

· দেহ

· আর্চ

২০. আর্চ-এর অংশ:

· পেডিকল (অর্থ পা)

· ট্রান্সভার্স প্রসেস (উভয় পার্শ্বে লম্বা হাতের মত লম্বা অংশ)

· ল্যামিনা (ল্যামিনেটিং শব্দের সাথে মিল রয়েছে)

· আর্টিকুলার প্রসেস (যা দিয়ে একটির সাথে আরেকটা কশেরুকা পরস্পর যুক্ত থাকে)

· স্পাইনাস প্রসেস: (এই উলম্ব প্রবর্ধন মাংসপেশীর সাথে আটকে থাকে)

· কশেরুকার ছিদ্র ( যার ভেতরে স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্না কাণ্ড সুরক্ষিত থাকে।)

২১. কশেরুকার প্রকারভেদ:

· সারভাইকাল (গলাদেশীয় বা গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা) : ৭ টি

· থোরাসিক (বক্ষদেশীয়) : ১২ টি, যেহেতু ১২ জোড়া পর্শুকা বা পাঁজর আমাদের রয়েছে।

· লাম্বার (কোমর বা কটিদেশীয়) : ৫ টি

· স্যাক্রাল (শ্রোণীদেশীয়) : ৫ টি > পরবর্তীতে ১ টি

· কক্কিজিয়াল (পুচ্ছদেশীয়, লেজের জায়গায়) : ৪ টি > পরবর্তীতে ১ টি

২২. সারভাইকাল/ গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা:

· একদম সবার উপরের কশেরুকাকে বলা হয় অ্যাটলাস

· অ্যাটলাসের পরবর্তী, ২য় গ্রীবাদেশীয় কশেরুকাকে বলা হয় অ্যাক্সিস

· ৩য়-৬ষ্ঠ সাধারণ টাইপ।

· ৭ম টিকে বলা হয় ভার্টিবা প্রমিনেন্স

· ২য় থেকে ৬ষ্ঠ সারভাইকাল কশেরুকার স্পাইনাল প্রসেস দ্বিখণ্ডিত

২৩. অ্যাটলাস:

· এর দেহ নেই। আর্টিকুলার প্রসেস নেই। তবে আর্টিকুলার ফ্যাসেট আছে।



২৪. অ্যাক্সিস:

· ওডোন্টয়েড প্রসেস রয়েছে।

২৫. ভার্টিব্রা প্রমিনেন্স:

· স্পাইনাস প্রসেস লম্বা ও অখণ্ডিত (২য়-৬ষ্ঠ দ্বিখণ্ডিত)

· এ কশেরুকাকে মাঝে মাঝে সারভাইকাল পর্শুকা বলা হয়।

২৬. থোরাসিক বা বক্ষদেশীয় কশেরুকা:

· পর্শুকার মাথার সাথে সংযোগের জন্য কোস্টাল ফ্যাসেট থাকে।

২৭. লাম্বার বা কটিদেশীয় কশেরুকা:

· সমস্ত কশেরুকার মধ্যে এদের দেহ সবচেয়ে মজবুত

· ম্যামিলারি ও অ্যাকসেসরি প্রসেস থাকে।

২৮. স্যাক্রাল কশেরুকা:

· ৫টি স্যাক্রাল কশেরুকা ক্রমশ একীভূত হয়ে ২৬ বছর বয়সে স্যাক্রাম নামে অস্থি গঠন করে।

২৯. বক্ষপিঞ্জর:

· একটি স্টার্নাম

· ১২ জোড়া পর্শুকা

· ১২ টি থোরাসিক কশেরুকা

৩০. স্টার্নাম:

· জিগফয়েড প্রসেস থাকে।

৩১. পর্শুকা:

· প্রথম ৭ জোড়া পর্শুকা তরুণাস্থি দিয়ে স্টার্নামের সাথে সংযুক্ত থাকে, এগুলোকে প্রকৃত পর্শুকা বলে।

· বাকি ৫ জোড়াকে বলে নকল পর্শুকা।

· ১১শ ও ১২শ পর্শুকা কে ভাসমান পর্শুকা বলা হয়।

· ৭ম ও ৮ম পর্শুকার দৈঘ্য সবচেয়ে বেশি।

৩২. উপাঙ্গীয় কঙ্কাল:

· বক্ষঅস্থিচক্র, দু’বাহু, শ্রোণীঅস্থিচক্র, দু’ পা নিয়ে উপাঙ্গীয় কঙ্কাল গঠিত।

৩৩. বক্ষঅস্থিচক্র:

· ১ জোড়া (২টি) ক্লাভিকল

· ১ জোড়া (২টি) স্ক্যাপুলা

৩৪. বাহুর অস্থি:

· হিউমেরাস: উর্ধ্ববাহু

· রেডিয়াস ও আলনা: নিম্নবাহু

· কার্পাল: হাতের অস্থি, প্রতি সারিতে চারটি করে দু’সারিতে মোট ৮ টি

· মেটাকার্পাল: করতলের অস্থি, সংখ্যা = ৫টি

· ফ্যালাঞ্জেস: বৃদ্ধাঙ্গুলে ২ টি এবং অন্য চারটি আঙ্গুলে ৩ টি করে মোট ১৪ টি থাকে।

৩৫. শ্রোণী-অস্থিচক্র বা পেলভিক গার্ডল:

· একটি ইলিয়াম, একটি ইশ্চিয়াম ও একটি পিউবিস নিয়ে একত্রিত হয়ে একটি হিপ বোন বা নিতম্বাস্থি গঠন করে, দু’টি নিতম্ব অস্থি মিলে শ্রোণী অস্থিচক্র।

· অ্যাসিটাবুলাম নামক অগভীর অংশে ফিমারের মস্তক আটকানো থাকে।

৩৬. পা-এর অস্থি:

· ফিমার : উর্ধ্ব পা

· প্যাটেলা : ফিমার ও টিবিয়া-ফিবুলার সংযোগস্থলে ত্রিকোণাকার অস্থি

· টিবিয়া ও ফিবুলা : নিম্ন পা

· টার্সাল : ৭ টি

· মেটাটার্সাল ও ফ্যালাঞ্জেস একই রকম ভাবে হাতের মত মোট ১৯ টি।

৩৭. অস্থিসন্ধি:

· একেবারে অনড় অস্থিসন্ধি: করোটির অস্থিসন্ধি

· সামান্য সঞ্চালনক্ষম : আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধি

৩৮. অস্থিসন্ধি তিন প্রকার:

· তন্তুময় সন্ধি

· তরুণাস্থিময় সন্ধি

· সাইনোভিয়াল সন্ধি

৩৯. তন্তুময় সন্ধি:

· সুচার : করোটিকার অস্থি

· মিনডেসমোসিস : টিবিও ফিবুলা

· গমফোসিস : দাঁত ও চোয়াল

৪০. তরুণাস্থিময় সন্ধি:

· সিমফাইসিস : শ্রোণীদেশে, দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থান

· সিনকন্ড্রোসিস : স্টার্নামের সাথে প্রথম পর্শুকার সনিধ, বর্ধনশীল লম্বা হাড়ে

৪১. সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি:

· সমতল অস্থিসন্ধি : দু’টি কার্পাল অস্থির মধ্যকার সংযোগ

· বল ও কোটর অস্থিসন্ধি : স্কন্ধ সন্ধি

· কন্ডাইলয়েড বা ডিম্বাকার অস্থিসন্ধি : হাঁটু সন্ধি

· পিভট অস্থিসন্ধি : প্রথম দু’টি সারভাইকাল (গলাদেশীয় বা গ্রীবাদেশীয়) কশেরুকার মধ্যে

· স্যাডল (ঘোড়ার জিন আকৃতির) অস্থিসন্ধি : বৃদ্ধাঙ্গুলের কার্পাল ও মেটাকার্পালের মধ্যকার সন্ধি

· হিঞ্জ (কব্‌জা) অস্থিসন্ধি : কনুইয়ের সন্ধি

৪২. চলনে বিভিন্ন পেশীর ভূমিকা:

· এক্সটেনশর : এক্সটেন্ড বা প্রসারিত করে। যেমন, ট্রাইসেপস সম্মুখ বাহুকে প্রসারিত করে।

· ফ্লেক্সর : পেশী অঙ্গ কে দু’ভাজ করে। যেমন, বাইসেপস কনুই বা আঙুল কে বাঁকায়।

· অ্যাবডাকটর : (অ্যাব = অ্যাওয়ে বা দূরে বোঝায়) দেহের অক্ষ থেকে অঙ্গ দূরে সরায়। যেমন, ডেলটয়েড পেশী।

· অ্যাডাকটর : অঙ্গ দেহের কাছে টেনে আনে। যেমন- ল্যাটিসিমাস ডরসি।

· ডিপ্রেসর : (নিচে প্রেস করা) অঙ্গকে নিচে নামায়। যেমন – ডিপ্রেসর ম্যান্ডিবুলা, চোয়াল নিচে নামায়।

· লিভেটর: (লিফ্‌ট করে) অঙ্গকে নিচে থেকে উপরে তুলে। যেমন – ম্যাসিয়েটর, চোয়াল উপরে উঠায়।

· রোটেটর: অঙ্গকে প্রধান অক্ষের চারপাশে ঘুরায়। যেমন – পিরিফর্মিস, ফিমার-এ অবস্থিত।

· প্রোট্র্যাকটর: (“প্রোটেক্ট” না, প্রোট্র্যাকট) অঙ্গকে সামনে প্রসারিত করে।

· রিট্র্যাক্‌টর: অঙ্গকে পেছনে প্রসারিত করে।

অনলাইন এ ক্লাস করুন একদম ফ্রী. …
(প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত)
Skype id - wschoolbd


Web School BD

বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ভিত্তিক ট্রেনিং সেন্টার "Web School BD". ওয়েব স্কুল বিডি : https://www.webschool.com.bd

Post a Comment

আপনার কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টস বক্স এ লিখতে পারেন। আমরা যথাযত চেস্টা করব আপনার সঠিক উত্তর দিতে। ভালো লাগলে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না। শিক্ষার্থীরা নোট ,সাজেশান্স ও নতুন নতুন ভিডিও সবার আগে পেতে আমাদের Web School BD চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব SUBSCRIBE করতে পারো।
- শুভকামনায় ওয়েব স্কুল বিডি

Previous Post Next Post