ওয়েব স্কুল বিডি : সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ – উপসর্গ ধারণা নিয়ে আলোচনা করা হলো
অনলাইন এক্সামের বিভাগসমূহ:
জে.এস.সি
এস.এস.সি
এইচ.এস.সি
সকল শ্রেণির সৃজনশীল প্রশ্ন (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিসিএস প্রিলি টেষ্ট
এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ – উপসর্গ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
অনলাইন এ ক্লাস করুন একদম ফ্রী. …
(প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত)
Skype id - wschoolbd
অনলাইন এক্সামের বিভাগসমূহ:
জে.এস.সি
এস.এস.সি
এইচ.এস.সি
সকল শ্রেণির সৃজনশীল প্রশ্ন (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি (খুব শীঘ্রই আসছে)
বিসিএস প্রিলি টেষ্ট
এইচ এস সি বাংলা ব্যাকরণ – উপসর্গ
উপসর্গ
উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে
বাংলা উপসর্গ
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
আ, সু, বি, নি
বিদেশি উপসর্গ
ফারসি উপসর্গ
আরবি উপসর্গ
ইংরেজি উপসর্গ
উর্দু- হিন্দি উপসর্গ
ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র
শকুন্তলা
বঙ্গভাষা
আমার পূর্ব বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
উপসর্গ : বাংলা ভাষায় কিছু কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ বাক্যে পৃথকভাবে স্বাধীন কোনো পদ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে বিভিন্ন শব্দের শুরুতে আশ্রিত হয়ে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলা হয় উপসর্গ। এগুলোর নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন সাধন করে।
উপসর্গ কোন শব্দ নয়, শব্দাংশ। এটি শুধুমাত্র শব্দের শুরুতে যোগ হয়। খেয়াল রাখতে হবে, উপসর্গ শুধুমাত্র শব্দেরই আগে বসে, কোন শব্দাংশের আগে বসে না। সুতরাং যে শব্দকে ভাঙলে বা সন্ধিবিচ্ছেদ করলে কোন মৌলিক শব্দ পাওয়া যায় না, তার শুরুতে কোন উপসর্গের মতো শব্দাংশ থাকলেও সেটা উপসর্গ নয়। এক্ষেত্রে নতুন শব্দের সঙ্গে মৌলিক শব্দটির কোন অর্থগত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
শব্দের শুরুতে যোগ হয়ে এটি- নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে, অর্থের সম্প্রসারণ করতে পারে, অর্থের সংকোচন করতে পারে এবং অর্থের পরিবর্তন করতে পারে।
উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা বা অর্থ নেই, কিন্তু অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরির ক্ষমতা বা অর্থদ্যোতকতা আছে। যেমন, ‘আড়’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোন অর্থ নেই। কিন্তু এটি যখন ‘চোখে’র আগে বসবে তখন একটি নতুন শব্দ ‘আড়চোখে’ তৈরি করে, যার অর্থ বাঁকা চোখে। অর্থাৎ, এখানে আড় উপসর্গটি চোখে শব্দের অর্থের পরিবর্তন করেছে। আবার এটিই ‘পাগলা’র আগে বসে তৈরি করে ‘আড়পাগলা’, যার অর্থ পুরোপুরি নয়, বরং খানিকটা পাগলা। এখানে পাগলা শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটেছে। আবার ‘গড়া’ শব্দের আগে বসে তৈরি করে ‘আড়গড়া’ শব্দটি, যার অর্থ আস্তাবল। এখানে আবার শব্দের অর্থ পুরোপুরিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা না থাকলেও তার অর্থদ্যোতকতা আছে। উপসর্গ অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ মূলত ৩ প্রকার- বাংলা উপসর্গ, তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ ও বিদেশি উপসর্গ।
বাংলা উপসর্গ : বাংলা ভাষায় বাংলা উপসর্গ মোট ২১ টি। বাংলা উপসর্গ সবসময় খাঁটি বাংলা শব্দ বা তদ্ভব শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। বাংলা উপসর্গগুলো হলো-
নিচে বাংলা উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ : সংস্কৃত ভাষার যে সব শব্দ তৎসম শব্দের মতো অবিকৃত অবস্থায় হুবুহু বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। তৎসম উপসর্গ শুধুমাত্র তৎসম শব্দের আগে বসে। তৎসম উপসর্গ মোট ২০টি-
নিচে সংস্কৃত উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো-
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আ, সু, বি, নি- এই চারটি উপসর্গ তৎসম ও বাংলা উভয় উপসর্গ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। রূপের বদল না হলেও এই চারটি উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলার কারণ, তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ আর তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলা হয়। তাই এই উপসর্গগুলো যখন তদ্ভব শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন এগুলোকে বলা হয় বাংলা উপসর্গ। আর যখন তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। যেমন, ‘আলুনি’তে আ বাংলা উপসর্গ, আর ‘আকণ্ঠ’তে আ সংষ্কৃত বা তৎসম উপসর্গ।
বিদেশি উপসর্গ : বিভিন্ন বিদেশি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সে সব ভাষার কিছু কিছু উপসর্গও বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এই সব বিদেশি ভাষার উপসর্গগুলোই বিদেশি উপসর্গ। তবে এই উপসর্গগুলো বাংলা বা সংস্কৃত উপসর্গের মতো নিয়ম মানে না। এগুলো যে কোন শব্দের সঙ্গেই যুক্ত হতে পারে। বিদেশি উপসর্গের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি শব্দের মতোই নতুন নতুন বিদেশি উপসর্গও বাংলায় গৃহীত হচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি উপসর্গ নিচে দেয়া হলো-
ফারসি উপসর্গ-
ফারসি উপসর্গের প্রয়োগ-
আরবি উপসর্গ-
ইংরেজি উপসর্গ-
উর্দু- হিন্দি উপসর্গ-
ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র
একাধিক উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ :
অ, অন- উপসর্গ অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দটাকে না-বোধক অর্থ দেয়। যেমন :
অ- উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ
উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে
বাংলা উপসর্গ
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
আ, সু, বি, নি
বিদেশি উপসর্গ
ফারসি উপসর্গ
আরবি উপসর্গ
ইংরেজি উপসর্গ
উর্দু- হিন্দি উপসর্গ
ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র
শকুন্তলা
বঙ্গভাষা
আমার পূর্ব বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
উপসর্গ : বাংলা ভাষায় কিছু কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ বাক্যে পৃথকভাবে স্বাধীন কোনো পদ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে বিভিন্ন শব্দের শুরুতে আশ্রিত হয়ে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলা হয় উপসর্গ। এগুলোর নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন সাধন করে।
উপসর্গ কোন শব্দ নয়, শব্দাংশ। এটি শুধুমাত্র শব্দের শুরুতে যোগ হয়। খেয়াল রাখতে হবে, উপসর্গ শুধুমাত্র শব্দেরই আগে বসে, কোন শব্দাংশের আগে বসে না। সুতরাং যে শব্দকে ভাঙলে বা সন্ধিবিচ্ছেদ করলে কোন মৌলিক শব্দ পাওয়া যায় না, তার শুরুতে কোন উপসর্গের মতো শব্দাংশ থাকলেও সেটা উপসর্গ নয়। এক্ষেত্রে নতুন শব্দের সঙ্গে মৌলিক শব্দটির কোন অর্থগত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
শব্দের শুরুতে যোগ হয়ে এটি- নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে, অর্থের সম্প্রসারণ করতে পারে, অর্থের সংকোচন করতে পারে এবং অর্থের পরিবর্তন করতে পারে।
উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা বা অর্থ নেই, কিন্তু অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরির ক্ষমতা বা অর্থদ্যোতকতা আছে। যেমন, ‘আড়’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোন অর্থ নেই। কিন্তু এটি যখন ‘চোখে’র আগে বসবে তখন একটি নতুন শব্দ ‘আড়চোখে’ তৈরি করে, যার অর্থ বাঁকা চোখে। অর্থাৎ, এখানে আড় উপসর্গটি চোখে শব্দের অর্থের পরিবর্তন করেছে। আবার এটিই ‘পাগলা’র আগে বসে তৈরি করে ‘আড়পাগলা’, যার অর্থ পুরোপুরি নয়, বরং খানিকটা পাগলা। এখানে পাগলা শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটেছে। আবার ‘গড়া’ শব্দের আগে বসে তৈরি করে ‘আড়গড়া’ শব্দটি, যার অর্থ আস্তাবল। এখানে আবার শব্দের অর্থ পুরোপুরিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা না থাকলেও তার অর্থদ্যোতকতা আছে। উপসর্গ অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ মূলত ৩ প্রকার- বাংলা উপসর্গ, তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ ও বিদেশি উপসর্গ।
বাংলা উপসর্গ : বাংলা ভাষায় বাংলা উপসর্গ মোট ২১ টি। বাংলা উপসর্গ সবসময় খাঁটি বাংলা শব্দ বা তদ্ভব শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। বাংলা উপসর্গগুলো হলো-
অ | অঘা | অজ | অনা | |
আ | আড় | আন | আব | |
ইতি | ঊন (ঊনা) | কদ | কু | |
নি | পাতি | বি | ভর | রাম |
স | সা | সু | হা |
নিচে বাংলা উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো-
উপসর্গ | অর্থ | উদাহরণ/ প্রয়োগ | |
১ | অ | নিন্দিত | অকেজো (নিন্দিত কাজ করে যে), অচেনা, অপয়া |
অভাব | অচিন (চিন-পরিচয়ের অভাব), অজানা, অথৈ | ||
ক্রমাগত | অঝোর (ক্রমাগতভাবে ঝরতে থাকা), অঝোরে | ||
২ | অঘা | বোকা | অঘারাম, অঘাচন্ডী |
৩ | অজ | নিতান্ত/ মন্দ | অজপাড়াগাঁ (একেবারে নিতান্তই পাড়াগাঁ), অজমূর্খ, অজপুকুর |
৪ | অনা | অভাব | অনাবৃষ্টি (বৃষ্টির অভাব), অনাদর |
ছাড়া | অনাছিষ্টি (সৃষ্টিছাড়া), অনাচার | ||
অশুভ | অনামুখো (অশুভ, মুখ যার অশুভ) | ||
৫ | আ | অভাব | আলুনি (লবনের অভাব), আকাঁড়া, আধোয়া |
বাজে, নিকৃষ্ট | আকাঠা, আগাছা | ||
৬ | আড় | বক্র/ বাঁকা | আড়চোখে (বাঁকা চোখে), আড়নয়নে |
আধা, প্রায় | আড়পাগলা (আধা পাগলা), আড়ক্ষ্যাপা, আড়মোড়া | ||
বিশিষ্ট | আড়গড়া (আস্তাবল), আড়কোলা, আড়কাঠি | ||
৭ | আন | না | আনকোরা (যা এখনো কোরা হয়নি, একদম নতুন) |
বিক্ষিপ্ত | আনচান, আনমনা (মনের বিক্ষিপ্ত অবস্থা) | ||
৮ | আব | অস্পষ্টতা | আবছায়া (অস্পষ্ট ছায়া), আবডাল |
৯ | ইতি | এ বা এর | ইতিপূর্বে (পূর্বেই) , ইতিকর্তব্য |
পুরনো | ইতিকথা (বহু পুরনো কথা), ইতিহাস | ||
১০ | ঊন (ঊনা) | কম | ঊনিশ (বিশ হতে ১ ঊন) , ঊনপাঁজুরে |
১১ | কদ্ | নিন্দিত | কদাকার (নিন্দিত/ কুৎসিত আকার) , কদবেল, কদর্য |
১২ | কু | কুৎসিত/ অপকর্ষ | কুঅভ্যাস (কুৎসিত/ খারাপ অভ্যাস), কুকথা, কুনজর, কুসঙ্গ, কুজন |
১৩ | নি | নাই/ নেতি | নিখুঁত (খুঁত নেই যার), নিখোঁজ, নিলাজ, নিভাঁজ, নিরেট |
১৪ | পাতি | ক্ষুদ্র | পাতিহাঁস (ক্ষুদ্র প্রজাতির হাঁস), পাতিশিয়াল, পাতিলেবু, পাতকুয়ো |
১৫ | বি | ভিন্নতা/ নাই বা নিন্দনীয় | বিপথ (ভিন্ন পথ), বিভূঁই, বিফল |
১৬ | ভর | পূর্ণতা | ভরপেট (পেটের ভর্তি/ পূর্ণ অবস্থা), ভরসাঁঝ, ভরপুর, ভরদুপুর, ভরসন্ধ্যে |
১৭ | রাম | বড়/ উৎকৃষ্ট | রামছাগল (বড় বা উৎকৃষ্ট প্রজাতির ছাগল), রামদা, রামশিঙ্গা, রামবোকা |
১৮ | স | সঙ্গে | সলাজ (লাজের সঙ্গে), সরব, সঠিক, সজোর, সপাট |
১৯ | সা | উৎকৃষ্ট | সাজিরা (উৎকৃষ্ট মানের এক প্রকার জিরা), সাজোয়ান |
২০ | সু | উত্তম | সুদিন (উত্তম দিন), সুনজর, সুখবর, সুনাম, সুকাজ |
২১ | হা | অভাব | হাভাতে (ভাতের অভাব), হাপিত্যেশ, হাঘরে |
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ : সংস্কৃত ভাষার যে সব শব্দ তৎসম শব্দের মতো অবিকৃত অবস্থায় হুবুহু বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। তৎসম উপসর্গ শুধুমাত্র তৎসম শব্দের আগে বসে। তৎসম উপসর্গ মোট ২০টি-
প্র | পরা | অপ | সম |
নি | অনু | অব | নির |
দুর | বি | অধি | সু |
উৎ | পরি | প্রতি | অতি |
অপি | অভি | উপ | আ |
নিচে সংস্কৃত উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো-
উপগর্স | অর্থ | উদাহরণ/ প্রয়োগ | |
১ | প্র | প্রকৃষ্ট/ সম্যক | প্রচলন (প্রকৃষ্ট রূপ চলন/ চলিত যা)প্রভাব, , প্রস্ফুটিত |
খ্যাতি | প্রসিদ্ধ, প্রতাপ | ||
আধিক্য | প্রবল (বলের আধিক্য), প্রগাঢ়, প্রচার, প্রসার | ||
গতি | প্রবেশ, প্রস্থান | ||
ধারা-পরম্পরা | প্রপৌত্র, প্রশাখা, প্রশিষ্য | ||
২ | পরা | আতিশয্য | পরাকাষ্ঠা, পরাক্রান্ত, পরায়ণ |
বিপরীত | পরাজয়, পরাভব | ||
৩ | অপ | বিপরীত | অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ |
নিকৃষ্ট | অপসংস্কৃতি (নিকৃষ্ট সংস্কৃতি), অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ | ||
স্তানান্তর | অপসারণ, অপহরণ, অপনোদন | ||
বিকৃত | অপমৃত্যু | ||
সুন্দর | অপরূপ | ||
৪ | সম | সম্যক রূপে | সম্পূর্ণ, সমৃদ্ধ, সমাদর |
সম্মুখে | সমাগত, সম্মুখ | ||
৫ | নি | নিষেধ | নিবৃত্তি, নিবারণ |
নিশ্চয় | নির্ণয় | ||
আতিশয্য | নিদাঘ, নিদারুণ | ||
অভাব | নিষ্কলুষ (কলুষতাহীন), নিষ্কাম | ||
৬ | অনু | পশ্চাৎ | অনুশোচনা (পূর্বের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা), অনুগামী (পশ্চাদ্ধাবনকারী), অনুজ, অনুচর, অনুতাপ, অনুকরণ |
সাদৃশ্য | অনুবাদ, অনুরূপ, অনুকার | ||
পৌনঃপুন্য | অনুশীলন (বারবার করা) , অনুক্ষণ, অনুদিন | ||
সঙ্গে | অনুকূল, অনুকম্পা | ||
৭ | অব | হীনতা | অবজ্ঞা, অবমাননা |
সম্যক ভাবে | অবরোধ, অবগাহন, অবগত | ||
নিমেণ/ অধোমুখিতা | অবতরণ, অবরোহণ | ||
অল্পতা | অবশেষ, অবসান, অবেলা | ||
৮ | নির | অভাব | নিরক্ষর, নির্জীব, নিরহঙ্কার, নিরাশ্রয়, নির্ঘন |
নিশ্চয় | নির্ধারণ, নির্ণয়, নির্ভর | ||
বাহির/ বহির্মুখিতা | নির্গত,নিঃসরণ, নির্বাসন | ||
৯ | দুর | মন্দ | দুর্ভাগা, দর্দশা, দুর্নাম |
কষ্টসাধ্য | দুর্লভ, দুর্গম, দুরতিক্রম্য | ||
১০ | অধি | আধিপত্য | অধিকার, অধিপতি, অধিবাসী |
উপরি | অধিরোহণ, অধিষ্ঠান | ||
ব্যাপ্তি | অধিকার,অধিবাস, অধিগত | ||
১১ | বি | বিশেষ রূপে | বিধৃত, বিশুদ্ধ, বিজ্ঞান, বিবস্ত্র, বিশুষ্ক, বিনির্মাণ |
অভাব | বিনিদ্র, বিবর্ণ, বিশৃঙ্খল, বিফল | ||
গতি | বিচরণ, বিক্ষেপ | ||
অপ্রকৃতিস্থ | বিকার, বিপর্যয় | ||
১২ | সু | উত্তম | সুকণ্ঠ, সুকৃতি, সুচরিত্র, সুপ্রিয়, সুনীল |
সহজ | সুগম, সুসাধ্য, সুলভ | ||
আতিশয্য | সুচতুর, সকঠিন, সুধীর, সুনিপুণ, সুতীক্ষ্ণ | ||
১৩ | উৎ | ঊর্ধ্বমুখিতা | উদ্যম, উন্নতি, উৎক্ষিপ্ত, উদগ্রীব, উত্তোলন |
আতিশয্য | উচ্ছেদ, উত্তপ্ত, উৎফুলল, উৎসুক, উৎপীড়ন | ||
প্রস্ত্ততি | উৎপাদন, উচ্চারণ | ||
অপকর্ষ | উৎকোচ, উচ্ছৃঙ্খল, উৎকট | ||
১৪ | পরি | বিশেষ রূপ | পরিপক্ব, পরিপূর্ণ, পরিবর্তন |
শেষ | পরিশেষ | ||
সম্যক রূপে | পরিশ্রান্ত, পরীক্ষা, পরিমাণ | ||
চতুর্দিক | পরিক্রমণ, পরিমন্ডল | ||
১৫ | প্রতি | সদৃশ | প্রতিমূর্তি, প্রতিধ্বনি |
বিরোধ | প্রতিবাদ, প্রতিদ্বন্দ্বী | ||
পৌনঃপুন্য | প্রতিদিন, প্রতি মাস | ||
অনুরূপ কাজ | প্রতিঘাত, প্রতিদান, প্রত্যুপকার | ||
১৬ | অতি | আতিশয্য | অতিকায়, অত্যাচার, অতিশয় |
অতিক্রম | অতিমানব, অতিপ্রাকৃত | ||
১৭ | অপি | অপিচ | |
১৮ | অভি | সম্যক | অভিব্যক্তি, অভিজ্ঞ, অভিভূত |
গমন | অভিযান, অভিসার | ||
সম্মুখ বা দিক | অভিমুখ, অভিবাদন | ||
১৯ | উপ | সামীপ্য | উপকূল, উপকণ্ঠ |
সদৃশ | উপদ্বীপ, উপবন | ||
ক্ষুদ্র | উপগ্রহ, উপসাগর, উপনেতা | ||
বিশেষ | উপনয়ন (পৈতা), উপভোগ | ||
২০ | আ | পর্যন্ত | আকণ্ঠ, আমরণ, আসমুদ্র |
ঈষৎ | আরক্ত, আভাস | ||
বিপরীত | আদান, আগমন |
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আ, সু, বি, নি- এই চারটি উপসর্গ তৎসম ও বাংলা উভয় উপসর্গ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। রূপের বদল না হলেও এই চারটি উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলার কারণ, তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ আর তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলা হয়। তাই এই উপসর্গগুলো যখন তদ্ভব শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন এগুলোকে বলা হয় বাংলা উপসর্গ। আর যখন তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। যেমন, ‘আলুনি’তে আ বাংলা উপসর্গ, আর ‘আকণ্ঠ’তে আ সংষ্কৃত বা তৎসম উপসর্গ।
বিদেশি উপসর্গ : বিভিন্ন বিদেশি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সে সব ভাষার কিছু কিছু উপসর্গও বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এই সব বিদেশি ভাষার উপসর্গগুলোই বিদেশি উপসর্গ। তবে এই উপসর্গগুলো বাংলা বা সংস্কৃত উপসর্গের মতো নিয়ম মানে না। এগুলো যে কোন শব্দের সঙ্গেই যুক্ত হতে পারে। বিদেশি উপসর্গের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি শব্দের মতোই নতুন নতুন বিদেশি উপসর্গও বাংলায় গৃহীত হচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি উপসর্গ নিচে দেয়া হলো-
কার | দর | না | নিম |
ফি | বদ | বে | বর |
ব | কম |
ফারসি উপসর্গের প্রয়োগ-
উপসর্গ | অর্থ | উদাহরণ/ প্রয়োগ | |
১ | কার | কাজ | কারখানা, কারসাজি, কারচুপি, কারবার, কারদানি |
২ | দর | মধ্যস্থ, অধীন | দরপত্তনী, দরপাট্টা, দরদালান |
৩ | না | না | নাচার, নারাজ, নামঞ্জুর, নাখোশ, নালায়েক |
৪ | নিম | আধা | নিমরাজি, নিমখুন |
৫ | ফি | প্রতি | ফি-রোজ, ফি-হপ্তা, ফি-বছর, ফি-সন, ফি-মাস |
৬ | বদ | মন্দ | বদমেজাজ, বদরাগী, বদমাশ, বদহজম, বদনাম |
৭ | বে | না | বেআদব, বেআক্কেল, বেকসুর, বেকায়দা, বেগতিক, বেতার, বেকার |
৮ | বর | বাইরে, মধ্যে | বরখাস্ত, বরদাস্ত, বরখেলাপ, বরবাদ |
৯ | ব | সহিত | বমাল, বনাম, বকলম |
১০ | কম | স্বল্প | কমজোর, কমবখত |
আরবি উপসর্গ-
উপসর্গ | অর্থ | উদাহরণ/ প্রয়োগ | |
১ | আম | সাধারণ | আমদরবার, আমমোক্তার |
২ | খাস | বিশেষ | খাসমহল, খাসখবর, খাসকামরা, খাসদরবার |
৩ | লা | না | লাজওয়াব, লাখেরাজ, লাওয়ারিশ, লাপাত্তা |
৪ | গর | অভাব | গরমিল, গরহাজির, গররাজি |
ইংরেজি উপসর্গ-
উপসর্গ | অর্থ | উদাহরণ/ প্রয়োগ | |
১ | ফুল | পূর্ণ | ফুলহাতা, ফুলশার্ট, ফুলবাবু, ফুলপ্যান্ট |
২ | হাফ | আধা | হাফহাতা, হাফটিকেট, হাফস্কুল, হাফপ্যান্ট |
৩ | হেড | প্রধান | হেডমাস্টার, হেডঅফিস, হেডপন্ডিত, হেডমৌলভী |
৪ | সাব | অধীন | সাব-অফিস, সাব-জজ, সাব-ইন্সপেক্টর |
উর্দু- হিন্দি উপসর্গ-
উপসর্গ | অর্থ | উদাহরণ/ প্রয়োগ |
হর | প্রত্যেক | হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম, হরহামেশা, হরেক |
ভাষা অনুশীলন; ১ম পত্র
শকুন্তলা
উপর্গযোগে গঠিত শব্দ :উপসর্গ | শব্দ |
অ | অদ্বিতীয়, অনিমিষ |
অতি | অতিমাত্র, অতিশয়, অতীত (অতি+ইত), অতিমুক্তলতা |
অনু | অনুসন্ধান, অনুষ্ঠান |
অব | অবলোকন, অবকাশ, অবতীর্ণ |
আ | আদেশ, আকার |
নিঃ | নিরপরাধ (নিঃ+অপরাধ), নির্বিঘ্ন (নিঃ+বিঘ্ন), নিঃশঙ্ক |
পরি | পরিত্রাণ, পরিণয়, পরিধান, পরিচালিত, পরিহাস, পরিতাপ |
প্র | প্রবেশ, প্রবিষ্ট |
সম | সমভিব্যাহারে, সম্মুখ, সমাগত, সংযত (সম+যত), সম্বোধন, সন্নিহিত (সম+নিহিত) |
একাধিক উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ :
শব্দ | গঠন | শব্দ | গঠন |
অনতিবৃহৎ | অন+অতি+বৃহৎ | অনুসন্ধান | অনু+সম+ধান |
সমভিব্যাহার | সম+অভি+বি+আ+হার | নিরপাধ | নি+অপ+রাধ |
সাতিশয় | স+অতি+শয় | প্রতিসংহার | প্রতি+সম+হার |
বঙ্গভাষা
অ, অন- উপসর্গ অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দটাকে না-বোধক অর্থ দেয়। যেমন :
উপসর্গ | মূল শব্দ | উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ |
অ | বোধ | অবোধ |
অ | নিদ্রা | অনিদ্রা |
অ | বরেণ্য | অবরেণ্য |
অ | জ্ঞান | অজ্ঞান |
অন | আহার | অনাহার |
অন | আগ্রহ | অনাগ্রহ |
আমার পূর্ব বাংলা
অ- উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ
মূল শব্দ | অ-উপসর্গযোগে |
তল | অতল |
শেষ | অশেষ |
ফুরন্ত | অফুরন্ত |
অলসতা |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন
- কোনটি তৎসম উপসর্গ নয়? (গ-২০০২-০৩)
- খাঁটি বাংলা উপসর্গ এর সংখ্যা- (গ-২০০৩-০৪)
- খাঁটি বাংলা উপসর্গ কোনটি? (গ-২০০৪-০৫)
- নিলাজ এর ‘নি’ উপসর্গটি: (গ-২০০৫-০৬)
- অজ
- নিচের কোনটি তৎসম উপসর্গ নয়? (গ-২০০৭-০৮)
- কোন শব্দটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ দিয়ে গঠিত হয়েছে? (গ-২০০৭-০৮)
- ‘হা’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়? (গ-২০০৮-০৯)
- ‘প্রণয়’- কোন উপসর্গ? (গ-২০১০-১১)
- উপসর্গযুক্ত শব্দ- (ক-২০০৯-১০)
- ‘নিমরাজি’ শব্দের ‘নিম’ উপসর্গ কী অর্থ নির্দেশ করে? (ক-২০০৭-০৮)
- কোন শব্দ উপসর্গ সহযোগে গঠিত নয়? (ক-২০০৭-০৮)
- ‘বেকার’ শব্দের ‘বে’ শব্দাংশকে ব্যাকরণে কী নামে অভিহিত করা হয়? (ক-২০০৬-০৭)
- উপসর্গজাত শব্দ (ক-২০০৬-০৭)
- একাধিক উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ কোনটি? (ক-২০০৬-০৭)
- ‘কদবেল’ শব্দে ‘কদ’ উপসর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে- (ঘ-২০১০-১১)
- অনতিবৃহৎ নিরপরাধ হরিণ সংহারে নিবৃত্ত হোন।– বাক্যটিতে উপসর্গ আছে- (ঘ-২০১০-১১)
- কোন শব্দটি উপসর্গ সহযোগে গঠিত নয়- (ঘ-২০০৯-১০)
- ‘বিনির্মাণ’ শব্দে ‘বি’ উপসর্গটি কী অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে? (ঘ-২০০৯-১০)
- উপসর্গযুক্ত শব্দ (ঘ-২০০৮-০৯)
- উপসর্গযুক্ত শব্দ (ঘ-২০০৬-০৭)
- ‘সমভিব্যাহার’ শব্দে উপসর্গের সংখ্যা (ঘ-২০০৩-০৪)
- নিচের শব্দগুলির কোনটিতে ‘উপ’ উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত? (ঘ-২০০৩-০৪)
- ‘অপ’ উপসর্গঘটিত কোন শব্দের অর্থ ইতিবাচক? (ঘ-২০০২-০৩)
- ‘সমভিব্যাহার’ শব্দের উপসর্গ কয়টি? (ঘ-২০০১-০২)
- অতি
- পরি
- প্রতি
- উপ
- ইতি
- অনা
(প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত)
Skype id - wschoolbd
Tags
HSC Bangla2